বিপিএলে জমজমাট ছিলো নবম আসরের ফাইনাল। কখনো এগিয়েছে সিলেট আবার কখনো কুমিল্লা। তবে শেষ হাসিটা হেসেছে ইমরুল কায়েসের দল। ফাইনালে না হারার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখে চতুর্থবারের মতো বিপিএলের শিরোপা নিজেদের করে নিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় কুমিল্লা।
রান তাড়ায় দলের নায়ক স্বদেশী লিটনের ৩৯ রানে ৫৫ রানের পর ৫২ বলে অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন চার্লস।
ফাইনালের মতো চাপের মঞ্চে ১৭৬ রানের লক্ষ্যে আগ্রাসী শুরু পেয়েছিল কুমিল্লা। লিটন আর সুনিল নারাইন প্রথম ২ ওভারে আনেন ২৭ রান। ১ ছয়, ১ চার মারার পর নারাইন রুবেল হোসেনের বলে টাইমিং পাননি। সহজ ক্যাচে বিদায় তার। অধিনায়ক ইমরুল পুরো আসরে ব্যাট হাতে নিজের মলিন দশা টেনে আনেন ফাইনালেও। এবার ৩ বলে ২ রান করে দেন সহজ ক্যাচ।
লিটনের ছন্দ বজায় থাকায় পাওয়ার প্লেতে আসে ৪৯ রান। দারুণ সব শটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আভাস দেন তিনি।
তার সঙ্গে জমে উঠে চার্লসের জুটি। ৮ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন চার্লস। বাউন্ডারি লাইনে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন রুবেল হোসেন। জীবন পাওয়া ক্যারিবিয়ান পরে হয়েছে মাশরাফিদের হতাশার বড় কারণ।