স্পোর্টস ডেস্ক
ইব্রাহিম জাদরান
মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ক্যাচে থামলেন ইব্রাহিম জাদরান। হাসান মাহমুদের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুশফিক।
ইনিংসের শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন ইব্রাহিম। তার উইকেটটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুশফিকের অসাধারণ ক্যাচে সেটি পেল বাংলাদেশ। ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার আগে ৭৪ বলে ১০টি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ৭৫ রান করেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৩৫ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১ রানেই ফেরেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ৯৭ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান।
৫৭ বলে ৩৩ রানে রহমত শাহ আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে হাশমতউল্লাহ শহিদির সঙ্গে ৫৮ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩০ ওভারের খেলা শেষে ১৫১ রান। ৩৩ ও ৩ রানে ব্যাট করছেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ও নজিবুল্লাহ জাদরান। জয়ের জন্য শেষ ১২০ বলে ১৮৪ রান করতে হবে আফগানদের।
রোববার পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে টাইগাররা। সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আজ বাংলাদেশকে জিততেই হবে।
এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখের সঙ্গে ৬০ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৮ আর ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন নাইম শেখ ও তাওহিদ হৃদয়।
তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন মিরাজ-শান্ত। এই জুটিতে তারা ১৯০ বলে ১৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
১৯৪ রানের জুটি গড়ার পথে জোড়া ফিফটি হাঁকান মিরাজ-শান্ত। দুজনেই নিজের ফিফটির ইনিংসটাকে সেঞ্চুরিতে পরিনত করতে সক্ষম হন। মেহেদি হাসান মিরাজ ১১৯ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১১২ রান করে হাতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন।
১০৫ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ রান করে রান আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিরাজ-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ।
ইনিংসের শেষ দিকে সাকিব আল হাসান ১৮ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ১৫ বলে ২৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম।