অনলাইন ডেস্ক
আয়িয়া নাপা সাইপ্রাসের পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। ছবি : গেটি ইমেজ
একজন ব্রিটিশ পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগে সাইপ্রাসে ছয় ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দূতাবাসকে অবহিত করা হয়েছে এবং কনসাল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে পুলিশ বা যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু সাইপ্রিয়ট গণমাধ্যম জানিয়েছে, একটি আদালত পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে আয়িয়া নাপা শহরে এক পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তের জন্য পাঁচ বিদেশিকে আটকের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স পৃথকভাবে পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে পর্যটকটিকে একজন ব্রিটিশ নারী বলে শনাক্ত করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ওই নারী স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেদিনের শুরুতে আয়িয়া নাপাতে তার হোটেলে তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। কথিত ধর্ষণের অভিযোগে পরে পাঁচজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছিল বলে সূত্রটি বলেছে।
আটককৃতরা ১৯ ও ২০ বছর বয়সী ইসরায়েলি পুরুষ।
এদিকে চ্যানেল ১২ টিভিকে ইসরায়েলি আইনজীবী নির ইয়াসলোভিৎসের দেওয়া বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল পত্রিকা বলেছে, ‘সাইপ্রাসের পুলিশের মতে, একটি গুরুতর সন্দেহ রয়েছে, তবে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের এ ধরনের মামলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আশা করি সত্য বেরিয়ে আসবে।’
২০১৯ সালে একজন ব্রিটিশ নারী সাইপ্রাসে পুলিশকে বলেছিলেন, আয়িয়া নাপাতে ১২ জন ইসরায়েলি পুরুষ তাকে ধর্ষণ করেছে।
পরে তিনি আইনজীবী ছাড়া আটক থাকার পর অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। তারপর জনসাধারণের দুর্দশা সৃষ্টির জন্য তার বিচার করা হয় এবং দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার শাস্তি নারী অধিকারের আন্দোলনকারীদের ক্ষুব্ধ করেছিল। গত বছর সাইপ্রাসের সুপ্রিম কোর্টে আপিলের মাধ্যমে শাস্তিটি বাতিল করা হয়।
সূত্র : বিবিসি