স্পোর্টস ডেস্ক
মুশফিক-হৃদয়
উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রান করা বাংলাদেশ এরপর ২৮ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা।
পঞ্চম উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ১১২ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৪৮ বলে ২৯ রানে ফেরেন মুশফিক। তার বিদায়ে ৩৭.২ ওভারে ১৫৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যেতে লড়াই করে যাচ্ছেন তাওহিদ হৃদয়। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন শামিম পাটোয়ারি।
২৫৮ রানের টার্গেট তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ভালো শুরু পরও ব্যাটিং বিপর্য। ওপেনিং জুটিতে ৫৫ করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের উইকেট হারায়।
এরপর ২৩ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় আরও ২ উইকেট। মিরাজ ২৮ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৯ করে ফেরেন। ৪৬ বল মোকাবেলা করে এক চারে ২১ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ।
৭ বলে ৩ আর ২৪ বলে ১৫ রানে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস।
প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন তাওহিদ হৃদয়।
এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ শ্রীলংকাকে হারানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই টাইগারদের।
শনিবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা। এক উইকেটে ১০৮ রান করা দলটি এরপর মাত্র ৫৬ রানের ব্যবধানে হারায় ৪ উইকেট।
একটা পর্যায়ে ৫ উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ১৬৪ রান। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন সাদিরা সামারাবিক্রমা। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়। শেষ দিকে শ্রীলংকা ৩৩ রানে হারায় ৫ উইকেট।
দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে লড়াই করে গেছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও কুশাল মেন্ডিস। মেন্ডিস ৭৩ বলে ৫০ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরির জন্য লড়াই করে যান সামারাবিক্রমা।
শেষ ওভারে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে সামারাবিক্রমার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। শেষ ওভারে বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৪টি। তাসকিন আহমেদের করা তৃতীয় বলে চার আর চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৭১ বলে ৯৩ রানে পৌঁছে যান তিনি।
শেষ দুই বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সামারাবিক্রমার প্রয়োজন ছিল ৭ রান। পঞ্চম বলটি ডট আর শেষ বলে আউট হলে তার সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেস্তে যায়।
সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে ৭২ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সামারাবিক্রমা। এছাড়া ৬০ বলে ৪০ রান করেন পাথুম নিশানকা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। ২ উইকেট নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম।