মেহেদি জুটি ভাঙলেন লোকেশ রাহুলকে আউট করে

খেলাধুলা

স্পোর্টস ডেস্ক


শুভমান গিল-লোকেশ রাহুল

বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৬৬ রানের টার্গেট তাড়ায় শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় ভারত। ২.৪ ওভারে দলীয় ১৭ রানে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও তিলক ভার্মাকে আউট করেন তানজিম হাসান সাকিব। ভারতীয় টপঅর্ডার দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করে কোণঠাসা করে দেন তরুণ পেসার তানজিম।

১৭ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। ৮৭ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা।

ভয়ঙ্কার হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটনা মেহেদি হাসান। তার বলে শামিম হোসেন পাটোয়ারির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লোকেশ রাহুল।

সাজঘরে ফেরার আগে ৩৯ বলে সাত টারে ১৯ রান করেন তিনি। রাহুলের বিদায়ে ১৭.১ ওভারে ৭৪ রানে ভারত হারায় ৩ উইকেট।

২৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ভারতীয় তারকা ওপেনার রোহিত শর্মাকে আউট করেন তানজিম। তানজিমের বলে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। তার বিদায়ে ২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ভারতীয় টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান তিলক ভার্মাকে বোল্ড করেন তানজিম। তিলকের বিদায়ে ২.৪ ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।

শুক্রবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের ১২তম ম্যাচে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে বাংলাদেশ। শুক্রবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত।

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫.৪ ওভারে মাত্র ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা।

ভারতীয় তারকা পেসার মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন কুমার দাস। লিটনের মতো একই অবস্থা তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। তিনি শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। ৩.১ ওভারে ১৫ রানে ফেরেন দুই ওপেনার।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বরের পর ওয়ানডে ম্যাচে সুযোগ পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে যাওয়া তারকা ওপেনার এনামুল হক বিজয়। তিনি ফেরেন ১১ বলে মাত্র ৪ রানে।

দলীয় ৫৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মিরাজ। তার আগে ২৮ বলে এক বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন এই অলরাউন্ডার।

এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা ১১৫ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন। তাদের দায়িত্বশীল জুটিতে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ।

এক পর্যায়ে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৬০ রান। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়, ৩৩ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট।

৮৫ বলে ৬টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মাত্র ৫ বলে ১ রান করেন শামিম হোসেন।

দলীয় ১৯৩ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তার আগে ৮১ বলে ৫টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪তম ম্যাচে পঞ্চম ফিফটি হাঁকান তাওহিদ।

সাকিব-হৃদয় আউট হওয়ার পর মনে হয়েছিল দ্রুতই ইনিংস গুটাবে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষদিকে অবিশ্বাস্য সুন্দর ব্যাটিং করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মাহদি হাসান। তারা অষ্টম উইকেটে ৩৬ বলে ৪৫ রানের ‍জুটি গড়েন।

ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটির পথেই ছিলেন নাসুম আহমেদ। আগের ৮টি ওয়ানডেতে সবমিলে ৪৪ রান করা এই স্পিনার এদিন খেলেন ৪৫ বলে ৬টি চার আর এক ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস।

নাসুম আউট হওয়ার পর দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান মাহদি হাসান। তিনি ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ২৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।

শেষদিকে নাসুম আহমেদ ও মাহদি হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে দুইশর কোটায় অলআউটের শঙ্কা কাটিয়ে ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *