দক্ষিণ গাজার একেক ফ্ল্যাটে ২০-৩০ জন

আন্তর্জাতিক

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

ইসরাইলের রক্তখেকো দানব সেনাবাহিনীর ভয়ে পালাচ্ছে গাজার নিরীহ-নিরস্ত্র-অসহায় মানুষগুলো। কিন্তু যাবে কোথায়? ৪৫ বর্গকিলোমিটারে অবরুদ্ধ গাজার চারদিকের সব পথ তো ২০০৭ থেকেই বন্ধ! প্রতিবেশী মিসরও বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্ত দরজা। বাধ্য হয়ে ইসরাইলের দেখানো দক্ষিণ গাজায়ই ছুটছে উত্তর গাজার প্রায় ১১ লাখ মানুষ। কে কোথায় আশ্রয় নেবে কেউ জানে না, তবু ছুটছে দিশেহারার দল। লক্ষ্য একটাই, বাঁচতে হবে; বাঁচাতে হবে পরিবার। হেঁটে, পিকআপ ভ্যানে কিংবা গাধার গাড়িতে, যেভাবেই হোক পৌঁছাতে হবে দক্ষিণে।

অথচ দক্ষিণের ধারণক্ষমতাই বা কতটুকু! স্রোতের মতো নিজেদের উঠানে আছড়ে পড়া এত এত মানুষের জায়গা দিতে রীতিমতো চরম সংকটে পড়েছে ছোট্ট দক্ষিণাঞ্চল। জায়গা সঙ্কুলানে কেউ থাকছে রাস্তাঘাটে, কেউ হাসপাতালে, কেউ ফ্ল্যাটে। অসহায় মানুষের আশ্রয়ে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণ গাজার প্রায় ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টেই এখন গাদাগাদি করে থাকছে বাসিন্দারা। একেকটি ফ্ল্যাটে ২০-৩০ জন একসঙ্গে থাকছেন। স্থান সংকট ছাড়াও রয়েছে খাদ্য, পানি এবং বিদ্যুতের অসুবিধা। এক টেলিগ্রাম বার্তায় জাতিসংঘের যোগাযোগব্যবস্থা থেকে জানানো হয়, ‘প্রিয় সকল, দয়া করে আপনি এবং আপনার পরিবারকে ভোরে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করুন।’ এরপরেই জিনিসপত্র বোঝাই করে গাড়ি, লরি এবং গাধার পিঠে করে দক্ষিণে যাত্রা করে জনগণ।

যেমন একদিকে অসংখ্য জনগণ দক্ষিণ গাজায় ছুটছে, অন্যদিকে অনেকেই নিজবাড়ি ছেড়ে কোথাও যেতে চাচ্ছে না। কেউ কেউ আবার পড়েছে উভয় সংকটে। শুক্রবার ইসরাইল যখন জনগণকে উত্তর গাজা ছাড়ার নির্দেশ দেয় হামাস স্ব-অবস্থানে বহাল থাকতে বলে। গাজার উত্তরে একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপে দাড়িয়ে মোহাম্মদ (২০) বলেন, ‘যাওয়ার চেয়ে মৃত্যু ভালো। আমি এখানেই জন্মেছি এখানেই মারা যাব। যাওয়া মানেই কলঙ্ক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *