চীন-ফিলিপাইনের পানি ছিটিয়ে মারামারি

আন্তর্জাতিক

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ফিলিপাইন ও চীনা জাহাজ। মাঝ সাগরেই পানি ছিটিয়ে মারামারি করছে। গত কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে বারবার মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দেশ।

রোববার আবারও দুই দেশের জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । দুদেশের নতুন এ সংঘর্ষ সারা বিশ্বেই হাস্যরসের খোরাক হয়ে উঠেছে। বিবিসি।

চীনের বিরুদ্ধে হয়রানি ও বিপজ্জনক কৌশল চালানোর অভিযোগ করেছে ফিলিপাইন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনারা তাদের তিনটি জাহাজকে বাধা দিতে জলকামান ব্যবহার করেছে এমন অভিযোগের একদিন পরই রোববার নতুন অভিযোগ করেছে ফিলিপাইন।

বলেছে, চীন স্প্র্যাটলি দ্বীপের কাছে দ্বিতীয় থমাস শোলে তাদের বেসামরিক সরবরাহ জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এমনকি খাদ্যসামগ্রী বহন করা একটি জাহাজকে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ ধাক্কা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরের ন্যাশনাল টাস্কফোর্স।

এক বিবৃতিতে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, জলকামান ব্যবহার করে ওই জাহাজটির ইঞ্জিনের বিপুল ক্ষতি সাধন করেছে তারা। চীনা কোস্টগার্ড পালটা অভিযোগ করেছে। বলেছে, তাদের একাধিক কঠোর সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই ফিলিপাইনের জাহাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গত সপ্তাহেও বিরোধপূর্ণ জলসীমায় চীন ১৩৫টি জাহাজ জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছিল ফিলিপাইন।

গত বছর ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিদ্ব›দ্বী সার্বভৌমত্বের দাবি নিয়ে দুদেশের মধ্যে দ্ব›দ্ব বেড়েছে।

দ্বন্দ্বের মধ্যেই, গত মাসে, ফিলিপাইন কোস্টগার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যৌথ নজরদারি মহড়া পরিচালনা করেছিল। কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও একই ধরনের আরেকটি মহড়া পরিচালনা করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন বহু বছর ধরেই দক্ষিণ চীন সাগরের ৯০ শতাংশ অঞ্চল দাবি করে এসেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালত ২০১৬ সালে দেশটির এমন দাবিকে অবৈধ হিসাবে রায় দেয়। বেইজিং এই রায়কে স্বীকৃতি না দিয়ে, বরং বিতর্কিত অঞ্চলগুলোতে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রেখেছে। এতে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক বিরোধ দিন দিন বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *