সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা বইমেলা। ছবি-সমকাল
৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় শনিবার উদযাপিত হবে ‘বাংলাদেশ দিবস’। বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাধ্যমে কলকাতা বইমেলাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপন করবে মেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। এ উপলক্ষে নগরীর সল্টলেকে বইমেলা প্রাঙ্গণে আজ দিনভর থাকছে বাংলাদেশের বই ও সংস্কৃতি-সংক্রান্ত নানা আয়োজন। তবে মূল অনুষ্ঠান হবে বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে বইমেলা প্রাঙ্গণের এস বি আই অডিটোরিয়ামে।
কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন জানান, মূল অনুষ্ঠানে থাকছে ‘সংযোগের সেতুবন্ধন: সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। প্রধান আলোচক হিসেবে থাকছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক চিন্ময় গুহ, বিশিষ্ট কবি ও পশ্চিমবঙ্গ কবিতা একাডেমির চেয়ারম্যান সুবোধ সরকার। আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড সভাপতি ত্রিদিপ চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করবেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে থাকবে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতা অবলম্বনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের একটি বিশেষ পরিবেশনা।
কলকাতা বইমেলার এবারের থিমকান্ট্রি যুক্তরাজ্য। শুক্রবার মেলার দ্বিতীয় দিনে উদযাপন করা হয় ‘ব্রিটেন ডে’। শনিবার ‘বাংলাদেশ দিবস’ ছাড়াও বইমেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের জন্য উদযাপিত হবে ‘শিশু দিবস’। বিগত বছরের মতো এবারও মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পেরু ও কলম্বিয়া। প্রায় ১২ বছর পর অংশ নিয়েছে জার্মানি। ছোট ও মাঝারি প্রকাশক ও লিটল ম্যাগাজিনের টেবিল মিলিয়ে চলতি বছর কলকাতা বইমেলায় স্টলের মোট সংখ্যা এবার এক হাজার। তবে এসবের মধ্যেও কলকাতার বাঙালি বইপ্রেমীদের কাছে মেলার অন্যতম আকর্ষণ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।
এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া রিকশা এবং রিকশাচিত্র দিয়ে। ৩ হাজার ২০০ স্কয়ার ফুটের এই প্যাভিলিয়নে এবার থাকছে বাংলাদেশের ১২টি সরকারি ও ৩৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল।