শিল্পকলা একাডেমিতে জমে উঠেছে জাতীয় পিঠা উৎসব

জাতীয় শিল্প ও সাহিত্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

সুবর্ণবাঙলা সংস্কৃতি সংবাদ


শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পিঠা উৎসবে মঙ্গলবার নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা

উসবমুখর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি। প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে একাডেমি প্রাঙ্গণ লোকে লোকারাণ্য। একদিকে মঞ্চে চলছে নাচ-গান, অন্যদিকে নানান বাহারি স্বাদের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে আছেন পিঠা শিল্পীরা। কেউবা পিঠা খাওয়ার সঙ্গে খোস গল্পে লিপ্ত, কেউ প্রিয়জনসহ কাছের মানুষদের নিয়ে একসঙ্গে পিঠা খেতে বসেছেন।

একদিকে জাতীয় চিত্রশালার সামনে নাগরদোলায় শিশুদের বিনোদনের উপকরণ অন্যদিকে বড়দের জন্য লোকসাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেন গ্রামীণ মেলা বসেছে এখানে। হাজারো ব্যস্ততার ভিড়ে কর্মজীবী নগরবাসী পরিবার-পরিজন নিয়ে উপভোগ করছেন পিঠা উৎসব। সব মিলিয়ে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ মঙ্গলবার ছিল জমজমাট।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় পিঠা উৎসব, চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় একযোগে উদ্বোধনের মাধ্যমে চলমান এ মেলায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে রাজধানী এবং জেলাগুলোতে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা এবং জেলা উপজেলা থেকে আগত পিঠা শিল্পীরাও এবারের মেলায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিদিন বাহারি স্বাদের পিঠা আর লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুগ্ধ আগত পিঠাপ্রেমী ও দর্শনার্থী।
মঙ্গলবার নৃত্যাঙ্গনের দলীয় নৃত্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। এর পর কবি দেবব্রত সিংহর কবিতা ‘হামরা কানু হামরা সিধু’ আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। একক সংগীত উকিল মুনসীর ‘নিলুয়া বাতাসে’ পরিবেশন করেন প্রতীক দাস। একক সংগীত রজব দেওয়ানের গান ‘আমি জন্মে জন্মে অপরাধী’ পরিবেশন করেন সুরাইয়া আক্তার সুবর্ণা। পরে সংগীত পরিবেশন করেন বদিয়ার রহমান। এর পর মমতাজ আলী খানের গান ‘এই যে দুনিয়া’ পরিবেশন করেন ফেরদৌসি বেগম।
কবি- গাজী খোরশেদুজ্জামানের কবিতা ‘ঢেক কুর কুর’ আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম। সমবেত নৃত্য ‘বাজা খঞ্জনি’ পরিবেশন করে ভাবনা নৃত্যদল। পরিচালনায় সামিনা হোসেন। একক সংগীত ‘লাল পাহাড়ের দেশে যা’ পরিবেশন করেন উম্মে সাওদা। একক সংগীত পরিবেশন করেন শরীফ সাধু, মো. এরফান হোসেন এবং রন্টি দাস। সমবেত নৃত্য ‘ঢেঁকি নাচে’ পরিবেশন করে নৃত্যাঙ্গন দল। কবি সৈয়দ শামসুল হকের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি।
এ ছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বি, এলিজা পতুল, বাউল মো. চান খা, আকরামুল ইসলাম প্রমুখ। সবশেষ পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘টাকডুম টাকডুম বাজে’ পরিবেশন করে ভাবনা নৃত্যদল। নৃত্য পরিচালনা করেন সামিনা হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো. আলমগীর ও আব্দুল্লাহ বিপ্লব। জাতীয় পিঠা উৎসব ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *