সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক
‘‘আর্লি টু বেড এবং আর্লি টু রাইস, মেকস এ ম্যান হেলদি, ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইস”…
প্রবাদটা আমরা জানি। মানি ক’জন? সারা দিনের দৌড়ঝাঁপ, পরিশ্রমের পরে আমরা পানীয় নিয়ে বসি। ধূমপান করি। মাঝরাত পর্যন্ত মুঠোফোনে বার্তা বিনিময়। শেষে ভোর রাতে ঘুম। প্রয়োজনীয় বিশ্রাম সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ওঠার তাড়া। চোখ জ্বালা, শরীর ম্যাজম্যাজ। বদহজম…ওজন বৃদ্ধি আরও অনেক কিছু। উদিত নারায়ণের ছেলে আদিত্য নারায়ণ কিন্তু অক্ষরে অক্ষরে মানেন। তাই সব সময়েই তিনি সতেজ, ঝকঝকে। উৎসাহে টগবগিয়ে ফুটছেন। কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখেন গায়ক-অভিনেতা-সঞ্চালক? কোন খাবার তিনি নিজে ভাল বানাতে পারেন? সবিস্তার আজকাল ডট ইনের পাতায়—
আমার পছন্দ: সাধারণত, আমি নিরামিষভোজী। মাঝেমধ্যে ডিম খাই। অনেকেই জানে না, বিশ্বে ডিম কিন্তু নিরামিষ খাবার। আমি এক বছর ভেগান হওয়ার চেষ্টা করেছি। এটি আমার শরীরের জন্য দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু খেয়ে ঠিক মজা পেতাম না। তাই আমি নিরামিষাশী। যখন আমাকে মিউজিক ভিডিয়োর প্রস্তুতি নিতে হয়, তখন ১০ থেকে ১২ সপ্তাহ খাবারের তালিকায় স্যামন মাছ রাখি। কারণ, এটি প্রোটিনের খুব ভাল উৎস। ছুটির দিনে কাঁকড়া বা গলদা চিংড়ি খেতে ভালবাসি। আন্দামান, গোয়া বা প্রিয় মালদ্বীপে থাকার সময় সামুদ্রিক খাবার খাই।
ঘুম থেকে উঠেই চাই: বুলেটপ্রুফ কফি। এটি এক ধরনের চর্বিযুক্ত কফি। আমার কাছে বুলেটপ্রুফ কফি আছে। এটি নারকেল থেকে তৈরি। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারি। দরকারে টানা ১৬ ঘন্টা উপোস করি। বিশেষ করে যখন মিউজিক ভিডিয়োয় কাজ করি।
জলখাবার: আমার জলখাবার মানেই পনিরের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছটি ডিমের সাদা অংশ।
সঙ্গে বাদাম টোস্ট। কখনও কখনও টোস্টে সাদা মাখন মাখিয়ে নিই।
মধ্যাহ্নভোজ: সবজি, প্রোটিন এবং কিছু ধরনের কার্বোহাইড্রেট। রুটির চেয়ে ভাত খেতে ভালবাসি। সঙ্গে বেলপেপার মরিচ, ব্রক্কোলি, অ্যাসপারাগাস, ভুট্টা এবং গাজর। কটেজ পনির বা কিছু টফু দিয়ে সবজি ভাজা হলে জমে যায় সবটা।
রাতের খাবার: জুডলস (জুচিনি নুডলস) বা ভেগান শেক বা মুগ ডাল চিল্লা।
প্রিয় মিষ্টি: মিষ্টি ভীষণ পছন্দ করি। সুযোগ পেলেই গোলাপ জামুন, ফিরনি, ক্ষীর, রসমালাই, ওয়েফেলস, নুটেলা এবং প্যানকেকে কামড় বসাই।
আমি লোভী: শরীরচর্চায়। জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাই। আমার ওয়ার্কআউটগুলিতে প্রায় ৪৫ মিনিটের ওজন প্রশিক্ষণ সেশন রয়েছে। কার্ডিওর জন্য প্রথমে ক্রস প্রশিক্ষণে ফোকাস করি। আবহাওয়া ভাল হলে সাইকেল চালাই।
পাঠকদের জন্য টিপস: আপনি যত আগে খাবেন, তত সুস্থ থাকবেন। প্রাতঃরাশ এবং দুপুরের খাবারে পেট ভরে খান। রাতের খাবার হালকা রাখুন। ক্র্যাশ ডায়েটে যাবেন না। আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা আপনাকে আরও সুন্দর করবে।
ডিমের ভুজিয়া
উপকরণ: ৩টি ডিম, ১ টেবিল চামচ মাখন, সিকি কাপ দুধ, ১-২ পনির কিউব (গ্রেট করা), নুন-মরিচ স্বাদমতো।
প্রণালী: একটি পাত্রে ডিম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। একটি নন-স্টিক প্যানে মাখন হালকা গরম করুন। দুধ যোগ করুন এবং নাড়ুন। ফেটানো ডিম যোগ করুন এবং ডিম সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত মৃদু আঁচে নাড়ুন। জ্বাল বন্ধ করুন এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং মরিচ যোগ করুন। আলতো করে মেশান। গ্রেট করা পনির দিয়ে সাজিয়ে টোস্ট দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।