শাওন মাহমুদ
সরকারের বেধে দেয়া মূল্যে এ পযর্ন্ত কোনো পণ্যই বাজারে বিক্রি হচ্ছেনা। অথচ এনিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে একটু আধটু বিব্রত দেখাগেলেও অন্য কারও মধ্যে যেন তার ছিঁটেফুটাও নেই। পেঁয়াজ আমদানির কথা শুণে পেঁয়াজের মূল্য কমলেও পরের দিন থেকেই আবার বাড়তে শুরু করেছে। এই যে হঠাৎ হঠাৎ বাড়া-কমা এটি পণ্য ঘাটতির জন্য যে নয় তা, সবচেয়ে নির্বোধ মানুষটিও বুঝার কথা! সরকারের এতো এতো সংস্থা, তারাও এর কুল-কিনাড়া করতে পাড়ছে না? খুচরা বাজারে দোকানিরা বলেন, তারা, মোকাম থেকে বেশি দামে কিনে আনছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। সরকার যদি দাম বেধেই দিয়ে থাকে, তাহলে তারা সরকারি দামে বিক্রি করতে পারবেনা, এজণ্যে কেন মোকাম থেকে প্রয়োজনে পণ্য কেনা বাদ দিচ্ছে না? তেমনি পাইকারকেও তো ধরা যায়? কিন্তু আমরা কি দেখি? ভোক্তা অধিকার দপ্তর দু’একটা অভিযানে যাচ্ছে, কিছু নগদ টাকা আদায় করে ফিরে এসে বুক ফুলিয়ে তা, বলছে মিডিয়ার সামনে। পঞ্চাশ লাখ টাকা লুটেনেয়াদের তিন লাখটাকা জরিমানা(?) এজাতীয় নাটকে ব্যাবসায়ীরা বরং খেলা খেলা যোস ফিল করে।
এদের কারও কেন জেল অথবা, জেল ও জরিমানা দু-ই করা হচ্ছে না? আরেকটি কথা, নীতি নৈতিকতা বলতে ব্যবসায়ীদের একে বারে ছোট(খুচরা) থেকে বড় পযর্ন্ত কারও অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। আমার নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে এটি বলছি। সরকারের হাতে অসংখ্য প্রমান আছে। বিক্রেতারা অধিক মূল্যে পন্য বিক্রি করছে। ভোক্তা অধিকার দপ্তরের লোজন বাজারে গেলে পণ্যের দাম কমে। তারা, না থাকলেই যে যেমন পাড়ছে মূল্য ঠিক করে নিচ্ছে! সুতরাং সরকার যদি জন-মানুষের পক্ষের হয়ে থাকে তাহলে, উচিত বিভিন্ন পাঁড়া-মহল্লায় মূল্য নিয়ন্ত্রন কমিটি করে দেয়া। প্রয়োজনে সর্বদলীয় কমিটি করা। সরকারের উচিৎ বাজারের দস্যুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা! একটু লক্ষ্য করলেই বুঝাযায় মূল্য বৃদ্ধির এই সুয়োগে মুদি ও সব্জী দোকানিদের মৌখিক ও শারীরীক ভাষায়ও এসেছে পরিবর্তন! কিছু পণ্যের বাজারের খুচরা ও মহল্লার দোকানি বা ব্যবসাযী একটি বিশেষ রানৈতিক দলেরকর্মী। অথবা, তাদের(কর্মী হওয়ার শর্তে) আর্থিক সহায়তায় ব্যবসা করছে। এটি অনেকেরই অবজার্ভেশন। মূল্য বৃদ্ধির জন্য উপর হতে নিচ পযর্ন্ত একটা চেন থাকা আবশ্যক। হতে পারে এরা সেই ভূমিকা পালন করছে। তবে এ সব বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা গুলোর মাধ্যমে আরও নিবির ভাবে খোজঁ-খবর নিয়ে, জড়িত হলে, ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে!