ফ্রান্সে গুগলের ২৫০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ডয়চে ভেলে


ছবি সংগৃহীত

ফ্রান্সের বাজার নজরদারি সংস্থা ইইউ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি বিষয়ক নিয়ম ও সে দেশের প্রকাশক ও বার্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে গুগলকে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো (তিনশ কোটি টাকা) জরিমানা করেছে।

বুধবার প্রযুক্তি সংস্থা অ্যালফাবেটের গুগলকে ফ্রান্সের প্রতিযোগিতা বিষয়ক নজরদারি সংস্থা জরিমানা দিয়েছে। গুগল তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইনির্ভর চ্যাটবট বার্ডকে, যা পরে নাম বদলে হয় ‘জেমিনি’, প্রকাশক বা বার্তা সংস্থাদের অজান্তে তাদের তথ্যের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

২০২২ সালে প্রকাশকদের সঙ্গে গুগলের সমঝোতায় গুগল মোট সাতটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর মধ্যে চারটি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছে নজরদারি সংস্থাটি।

প্রকাশকদের কন্টেন্ট গুগল কীভাবে ব্যবহার করবে, সেবিষয়ে প্রকাশকদের অনুমতি না নেওয়ায়, কন্টেন্টের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারেননি প্রকাশকরা, অভিযোগ গুগলের বিরুদ্ধে।

এই জরিমানাকে গুগল অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলেছে। গুগলের মতে, নজরদারি সংস্থা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেনি যেভাবে গুগল বর্তমান পরিস্থিতি, যেখানে ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে তা বলা কঠিন, তেমন অবস্থাতেও কাজ করে যাচ্ছে।

কিন্তু, ‘এখন এগিয়ে যাবার সময়’ বলে এই জরিমানা মেনেও নিয়েছে গুগল।

এআই যেভাবে প্রকাশক, লেখক বা বার্তা সংস্থাদের কাজ কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সংগ্রহ করে, তা ঠেকাতে চাইছেন লেখক-প্রকাশকরা। এমন আবহে এই জরিমানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে।

মনে করা হচ্ছিল, এই দ্বন্দ্ব ২০২২ সালেই শেষ, যখন এই একই মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা তার বিরুদ্ধে একটি তদন্তের মাধ্যমে ওঠা প্রাথমিক জরিমানার মামলার আপিল ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু ফ্রান্স একমাত্র ইইউ রাষ্ট্র নয় যারা গুগলের সংবাদ সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করছে না।

গুগল বনাম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যরা

স্পেনের প্রতিযোগিতা বিষয়ক নজরদারি সংস্থা গত বছর একটি তদন্ত শুরু করে, যার কাজ সংবাদ সংস্থা ও প্রকাশনার কাজে তথাকথিত ‘প্রতিযোগিতাবিরোধী কার্যকলাপের’ কেমন প্রভাব পড়ে, তা দেখা।

২০২২ সালে জার্মানির নজরদারি সংস্থা গুগলের নিউজ শোকেস পরিষেবাকে ঘিরে একটি তদন্ত বন্ধ করে। কারণ, গুগল প্রতিযোগিতামূলক প্রশ্ন যাতে না ওঠে, সে জন্য তার কাজে কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ বদল’ এনেছিল।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ২০২৩ সালে গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট ও ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে। তাদের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই চ্যাটবট প্রযুক্তিকে প্রশিক্ষিত করতে লাখো প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *