সুবর্বাঙলা ডেস্ক
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে গত ১৫ মার্চ মিয়ানমার থেকে ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছিল। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাখাইন রাজ্যের সমাজবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অং মিয়োর। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় প্রত্যাবাসান উদ্যোগের অগ্রগতি দেখার জন্য একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা শেষে তারা রাজি হন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৫ জনের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যাচ্ছে। দলটি ফিরে এসে সবকিছু ঠিকঠাক আছে, জানালে আগামী মাসের শেষের দিকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
এ খবরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক রোহিঙ্গা নেতা। উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি শামসুল আলম বলেন, ‘এ দেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যাচ্ছে জেনে খুব ভালো লাগছে। যদি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সফল হয় তাহলে আমরা আমাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারব।’
১ নম্বর ক্যাম্প-ইস্টের সাব মাঝি হোসেন জোহর বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছি নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য। কারণ সেখানে গেলে আমরা আগের সেই সোনালি দিন ফিরে পাব বলে আশা করছি।’
রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার নুরুল আমিন বলেন, ‘প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যাবে শুনেছি। কিন্তু ওই দল ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে সঠিক বলতে পারছি না। তবে আমাদের দাবিগুলো পূরণের মাধ্যমে আমরা নিজ দেশে চলে যেতে যাই।’ শরণার্থী কমিশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে মাত্র ৬০ হাজারের মতো। তালিকা ধরে এর আগেও দুবার প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রোহিঙ্গাদের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সামরিক জান্তার নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয় নিয়ে আছে।