সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় গেটে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাসে এই আলটিমেটাম দেন তারা। শাটডাউন কর্মসূচি শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। দাবি মেনে না নিলে সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সিভাসুর শিক্ষক ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে আমরা ভিসি হিসাবে মেনে নেব না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিতে হবে আমাদেরই শিক্ষকদের মধ্য থেকে। আগের ভিসিরা রুটিন ওয়ার্ক করেই চলে গেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন করেননি। এ পদে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের নিয়োগ না দেওয়ারও দাবি শিক্ষার্থীদের।
সিভাসু সূত্র জানায়, ১৯ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগের আবেদন জানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের এক দফা দাবিতে টানা পাঁচদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করা হয়। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সর্বশেষ শনিবার শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সংহতি প্রকাশ করেন।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি সভা ডাকেন সিভাসুর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে বলে সভায় শিক্ষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপাচার্যের সভাপতিত্বে সভায় অনুষদীয় ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।