সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
ঢাকার নদী, খাল ও জলাধার পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
তিনি আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) কাছে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশের নদীগুলোর পরিবেশগত অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও উন্নত করার জন্য একটি সমন্বিত নদী স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউএনসিসিডি কপ–১৬–এর ফাঁকে আইইউসিএনের গ্লোবাল ওয়াটার প্রোগ্রামের পরিচালক ড. জেমস ডালটনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সচিব এ আহ্বান জানান।
শুক্রবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা বলেন, ঢাকার নগর পানি ব্যবস্থাপনা একসময় শহরের প্রাণ ছিল; কিন্তু বর্তমানে এটি দূষণ, দখল এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ব্যাপক চাপের মুখে। এসব জলাধার পুনরুদ্ধার ও টেকসই নগর-পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
বৈঠকে আইইউসিএনের পরিচালক ড. ডালটন বাংলাদেশকে ফ্রেশ ওয়াটার চ্যালেঞ্জ পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এ কর্মসূচিতে ৪৭টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ লাখ কিলোমিটার নদী এবং ৩৫ কোটি হেক্টর জলাভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।
ড. ডালটন বলেন, এ উদ্যোগে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের পানিসম্পদ পুনরুদ্ধারের জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং জাতিসংঘের ইকোসিস্টেম (বাস্তুতন্ত্র) পুনরুদ্ধার দশক (২০২১–৩০) বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
এর আগে এদিন টেকসই কৃষি–খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় অংশ নেন ড. ফারহিনা আহমেদ। সেখানে তিনি বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমি, পানি ও জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ কৃষি পরিকল্পনার অংশ হওয়া জরুরি।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সোহরাব আলী এবং মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পরিবেশ-১) রুবিনা ফেরদৌসী।