আগুনে পুড়ে মায়ের মত্যু, ২ চিকিৎসক ছেলে অগ্নিদগ্ধ

অন্যান্য ঘটণা- দুর্ঘটনা মফস্বল

সুবর্ণবাঙলা ওয়েব ডেস্ক

রাজশাহীর বাগমারায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু এবং তার দুই চিকিৎসক ছেলে গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাদারীগঞ্জ বাজারের একটি তিনতলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে দমকলের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত স্কুলশিক্ষকের নাম ফরিদা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি মাদারীগঞ্জ বাজারের এজাজুল বাশার স্বপনের স্ত্রী।

গুরুতর অগ্নিদগ্ধ দুই ভাই ডা. রাশিদুল বাশার ও শফিউল বাশারকে ঢাকায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, মাদারীগঞ্জ বাজারের যে তিনতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে সেটি ছিল আশা নামে একটি সিনেমা হল।

কয়েক বছর আগে হলটি বন্ধ হয়ে গেলে এজাজুল বাসার স্বপন সেটি কিনে নেন। হল ভবনের নিচতলার কিছু অংশ ভেঙে কয়েকটি দোকান করা হয়। দুই তলায় করা হয় কয়েকটি ঘর; সেখানে একটি এনজিওর অফিস ছিল। ভবনের তিনতলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন স্বপন। ঈদের দিন ফরিদা ইয়াসমিন, দুই ছেলে ও স্বামীসহ এখানেই ছিলেন। রাতের খাবার খেয়ে স্বামী এজাজুল হক রাজশাহীর বাসায় চলে যান। তবে ফরিদা ইয়াসমিন এক ঘরে ও তার দুই ছেলে আরেক ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।

এদিকে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ভবনের নিচতলা থেকে আগুন লেগে তিনতলায় ছড়িয়ে পড়ে। ফরিদা ইয়াসমিন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
দুই ছেলে ডা. রাশিদুল ও শফিউল অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় লাফ দিয়ে নিচে পড়েন। এ সময় তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ফরিদা ইয়াসমিন মারা যান। দুই ছেলের শরীরের ৪৫ ভাগ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ভোরের দিকে তাদের ঢাকায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ফরিদা ইয়াসমিন দুর্গাপুর উপজেলার শিবপুর হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই চিকিৎসক ছেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। আগুনে পরিবারটির বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম দমকলের সূত্র উল্লেখ করে বলেন, নিচ তলার দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সিনেমা হলটি ভেঙে ভবনের যে অবকাঠামো করা হয়েছিল তাতে ক্রটি ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দলকল বাহিনী ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছেন। এই বিষয়ে বাগমারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি রেকর্ড করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *