সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী। এছাড়া গাইবান্ধা, সিলেট ও ময়মনসিংহে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দলটির আরও তিন প্রার্থী। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী। বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। আর্থিক ও দলের পক্ষ থেকে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান তারা।
গাইবান্ধা : সমর্থকদের মারধর, নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, হুমকি ও নিরাপত্তাজনিত কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। তিনি বুধবার বিকালে গাইবান্ধার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। গাইবান্ধা-৫ আসনে (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আতাউর রহমান সরকারকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
সিলেট : সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সিলেট-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাব্বির আহমদ। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই- এমন অভিযোগ এনে বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহার ট্রাক প্রতীককে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাবকে দায়ী করে বুধবার রাতে স্থানীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিমিয়কালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মতবিনিময়কালে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, নির্বাচনে তার কর্মীদের ভয়ভীতি-প্রদর্শন, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।