সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে আটকা পড়েছেন পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা

অন্যান্য জাতীয় পরিবহণ-পর্যটন ও যোগাযোগ পরিবেশ ও জলবায়ু মফস্বল

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, পাটলাই ও নলজুর নদীর পানি আরও বেড়েছে। প্রবল বেগে পানি প্রবাহে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আটকা পড়েছেন পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা।

ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে দ্বিতীয়বারের মতো পাহাড়ি ঢল নেমেছে। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং উজানের ঢলে হাওড় এলাকার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়নি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুরমা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আগামী ৭২ ঘণ্টায় ভারী বা মাঝারি বৃষ্টিপাত হলে নিচু অঞ্চলে স্বল্পকালীন বন্যা দেখা দিতে পারে। মূলত গত দুদিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুল হাওলাদার বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কোনও কোনও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে।

দুই দিনের টানা বর্ষণ ও সীমান্তের ওপাড়ে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চলাচলের সড়ক ডুবিয়ে বিকট শব্দে হু হু করে ঢলের পানি ঢুকছে হাওড় ও লোকালয়ে। ঘোলাটে পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে হাওড় এলাকা।

মেঘালয় পাহাড়ের বিভিন্ন পাহাড়ি ছড়া দিয়ে ঢলের পানি সুনামগঞ্জের মধ্যনগর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

মধ্যনগরের উত্তর বংশীকূন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরু নবী তালুকদার জানান, শুক্রবার ভোর থেকে মেঘালয় পাহাড়ের মহেশখলা ছড়া দিয়ে প্রবলবেগে ঢলের পানি ঢুকছে। এতে এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঘোরাঘুরিতে বাধ সেধেছে বৃষ্টি

এতে ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি, মহেশখলা, ঘোলগাঁও, রংপুর, বাঙ্গালভিটা, রূপনগর, রেঞ্জিপাড়া ও কলতাপাড়া গ্রামের লোকজনের চলাচলের একমাত্র সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এলাকার মানুষ পানি মাড়িয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করছেন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *