প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ছবি: তাজউদ্দিন আহমেদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হানাদার
পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে কারাগারে আটক থাকাকালীন তাঁর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার অন্যতম কাণ্ডারি, বিজয় অর্জনের
পর বাংলাদেশের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমদের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ বঙ্গবন্ধু
পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক যুক্ত
বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন-
“পাকিস্তানি উপনিবেশিক শোষণের সর্বগ্রাসী বঞ্চনার সময় থেকে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাঙ্গালির মুক্তির সনদ ৬-দফা প্রণয়ন
থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বের প্রতিটি কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণে জনাব
তাজউদ্দিন আহমদ সার্বক্ষণিকভাবে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ ও ১৯৪৯
সালে আওয়ামী লীগ গঠন প্রক্রিয়ায়ও বঙ্গবন্ধুর সাথে সহযোগী হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর
তিনি প্রবাসে সরকার গঠন করেন ও নানা জটিলতার মধ্যেও সাফল্যের সাথে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশাসন গঠন ও পরিচালনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সংগ্রহ, ভারতে আশ্রয় নেয়া এক কোটি শরণার্থীর আশ্রয়-খাদ্য-চিকিৎসা-
নিরাপত্তার ব্যবস্খা করা, আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ইত্যাদি অত্যন্ত জটিল ও দুরূহ কাজগুলো তিনি
অত্যন্ত সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছেন। স্বাধীনতা লাভের পর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটিকে পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু তাঁকে অর্থ
ও পরিকল্পনামন্ত্রী নিযুক্ত করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁকে ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয়
কারাগারে আটক মুক্তিযুদ্ধের অপর তিন জাতীয় নেতার সাথে খুনি খন্দকার মোশতাক-জিয়াউর রহমান গং নৃশংস কায়দায় হত্যা
করে।
সারা জীবন অত্যন্ত সাদাসিধা জীবনযাপনকারী এই মহান নেতার ৯৮তম জন্মবার্ষিকীতে আমরা তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই
এবং তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে দেশপ্রেমের শিক্ষা গ্রহণের জন্য নবীন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানাই।”