১৫ বছর পর নিজস্ব হাসপাতাল পাচ্ছে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ

জাতীয় শিক্ষা-গবেষণা ও ক্যাম্পাস

কক্সবাজার প্রতিনিধি

অবশেষে একনেকে অনুমোদন পেয়েছে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতাল নির্মাণ। গত মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের একটি ছোট ইউনিটে ২০০৮-২০০৯ সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ১৫ বছরেও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাসেবার সুযোগ পায়নি রোগীরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। পর্যটন নগরীর অগণিত রোগী শয্যার অভাবে সদর হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসা নেয়। একটু জটিল সমস্যা হলেই তাকে পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকায়। এতে অনেক রোগী পথেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের নভেম্বরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে অস্থায়ী কক্সবাজার মেডিক্যাল হাসপাতাল ঘোষণা করে। তখন থেকে এখানেই ইন্টার্ন চিকিত্সকেরা ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণ এবং রোগীর সেবা দিচ্ছেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর গত ছয় বছরেও আলোর মুখ না দেখা হাসপাতাল অবশেষে গত ২৯ আগস্ট একনেকের সভায় অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু এর নির্মাণকাজ কবে শুরু হবে, এর বরাদ্দ কত; এসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এখনো জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, হাসপাতাল প্রকল্পটি গত মঙ্গলবার একনেকে অনুমোদন হয়েছে বলে জেনেছি। তবে এসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এখনো পাইনি। আরো কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। অধ্যক্ষ বলেন, নিজস্ব হাসপাতাল পেলে শিক্ষার্থীরা কলেজের পাশেই হাতে-কলমে শিক্ষা নিতে পারবেন। বর্তমানে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে তাদের ব্যাবহারিক ক্লাস নিতে হয়।

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলালউদ্দিন বলেন, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ ২০১১ সালে স্থাপিত হয়ে ছয় বছরের মাথায় ২০১৭ সালে কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন হয়। ২০১৩ সালে গাজীপুরে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয়ে মাত্র চার বছরের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন হলেও দীর্ঘ ১৫ বছর নিজস্ব হাসপাতাল পায়নি কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *