সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক
ইরানের নতুন মোহাজের ১০ ড্রোন। ছবি : সংগৃহীত
সামরিক শক্তিতে একের এক তাক লাগানো সাফল্য দেখিয়ে চলছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান। বিশেষ করে ড্রোন তৈরিতে তেহরানের ক্রমাগত সাফল্য বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বীদের। এরই মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে ইরানি এসব ড্রোনের কার্যকারিতা। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে রুশ বাহিনী।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিজেদের তৈরি সবচেয়ে দূরপাল্লার ড্রোন উন্মোচন করেছে ইরান। দেশটির দাবি, বিশ্বব্যাপী যত সামরিক ড্রোন রয়েছে তার মধ্যে তেহরানের তৈরি এই ড্রোনটি সবচেয়ে দীর্ঘপাল্লার। আজ শুক্রবার ইরাক-ইরান যুদ্ধের বার্ষিকী ও প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজে এই ড্রোন দেখানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
সামরিক এই কুচকাওয়াজে মোহাজের, শাহেদ ও আরাশসহ আরও বিভিন্ন ড্রোন প্রদর্শন করে ইরানের সামরিক বাহিনী। গত মাসে দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লার মোহাজের ১০ ড্রোন উন্মোচন করে ইরান। এই ড্রোনটি টানা ২৪ ঘণ্টা উড্ডয়ন সক্ষমতাসহ ৩০০ কেজি বোমা বহন করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে মোহাজের ৬, শাহেদসহ বিভিন্ন মডেলের ড্রোন সরবরাহ করছে ইরান। মঙ্গলবার এমন অভিযোগে ইরানের সমরাস্ত্র ও ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে বরাবরই এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান।
কুচকাওয়াজে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জানান, ইরানের সামরিক বাহিনী শুধু দেশ ও পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের দিনে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধই বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। শুধু প্রতিরোধের মাধ্যমেই শত্রুকে পিছু হটানো সম্ভব।