সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটে অভিনেত্রীর একজন বন্ধু ও মেকাপম্যান মিহির তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।
তিনি বলেন, হুমায়রা হিমু মারা গেছেন। রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে তার লাশ আছে। যে ছেলেটি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে সে এখন পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে খুঁজছে।
জানা গেছে, অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছেলেটি তার প্রেমিক। অভিনেত্রীর মৃত্যর পরেই সে হিমুর মোবাইল ফোনসহ নিখোঁজ। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আহসান হাবিব নাসিম আরও বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ছেলের নাম হয়তো শুভ। সঠিক নাম এখনো জানা যায়নি। হাসপাতালে আমাদের লোক আছে, পুলিশও আছে। তারা ছেলেটিকে আটক করার পর আসল সত্য জানা যাবে। মৃত্যুর কারণ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এর পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের উত্তরা বিভাগের এডিসি মির্জা সালাহ্উদ্দিন কালবেলাকে জানান, অভিনেত্রী হিমু ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিক আলামতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখন তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্য কেউ তাকে মেরে বা হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য হিমুর মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এর পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ওই বাসায় হুমায়রা হিমু একাই থাকতেন। পাশের কক্ষে তার কথিত বন্ধু থাকতেন। ঘটনার পর সে পলাতক রয়েছে। তাকে পাওয়া গেলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। তবে ওই বাসার কেয়ারটেকারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে কথিত বন্ধু এবং কেয়ারটেকার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুকে অচেতন অবস্থায় উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে আসে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করার পর সেখান থেকে অভিনেত্রীর ওই কথিত বন্ধু পালিয়ে যায়।
নাটকের নিয়মিত অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন। ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন এবং ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন।
ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মুর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।