শাওন মাহমুদ
আমাদের দেশে গণতন্ত্রের জন্য গলা ফাটানো তথা কথিত বামাতি বুদ্ধিজীবীরা জেনে বা না-জেনে, গনতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্ষতি কারক। ছাগলের এই তিন নম্বর বাচ্চারা, একবার এদিকে তো আবার ও দিকে। তাদের এই দ্বিচারিতার কারণে নিজেরা যেমন পজেটিভ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারেননি, তেমনি তাদের লক্ষ্যরও বারবার বিচ্যুতি ঘটেছে। সাধারণ মানুষ একসময় বামদের সৎ রাজনীতিক হিসেবে জানলেও এখন মনেকেরে কমিশন এজেন্ট! সেই পুরাকালের রাজনীতিকদের অর্জিত সততার সুনামের সার্টিফিকেট দিয়ে এতো দিন চলে এসেছেন তারা।
দেশে কিকভাবে বা, কি প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে? এর মূল সমস্যা কোথায়? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় শুধু কি রাজনৈতিক দলের নেতরাই ভূমিকা রাখবেন না-কি, দলের সর্বস্তরের সকলেই ভূমিকা থাকতে হবে? ইত্যাদি বিষয় অমীমাংসিত রেখে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব কি? শুধু বড় বড় অগণতান্ত্রিক পদ্ধতির নেতা নির্বাচক দলগুলোর পিছনে লেজুড় বৃত্তি করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবেনা। এই সত্য তারা, নিজেরা যেমন বুঝতে চাননা, তেমনি, জনগনকেও বুঝাতে চান না। তারা, হয়তো এটাও বুঝেননা যে, একটা স্বৈরাচারীদল এবং একটা সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট দলের লেজুড়বৃত্তি করে বড়জোর পশ্চিমাদের পছন্দের দালাল হওয়া যেতে পারে। কিন্তু, গণতন্ত্রের কোনো লাভ হবেনা। বরং, গণতন্ত্রের পথের কাটা হিসেবে ভবিষ্যতে চিহ্নিত হতে হবে! অথচ, সমাজতন্ত্র ভুলে, গনতন্ত্রের জন্য এদের গলাই এখন সবচাইতে লম্বা!