সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক
মানসিক চাপে মানুষের যেমন কষ্ট হয়, ঠিক তেমন অনুভূতি রয়েছে গাছেরও। অবসাদে থাকলে তারাও মানুষের মতো কিছু বলতে চায়। জোরে চিৎকার করে। কথাও বলে একে অপরের সঙ্গে। সম্প্রতি এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে ইজরায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়।
সম্প্রতি টমেটো, তামাক, গম, ভুট্টা, ক্যাকটাসের উপর এই পরীক্ষা করা হয়। পর্যবেক্ষণ শুরুর আগে গাছগুলিকে পাঁচদিন জল দেওয়া হয়নি। কিছু গাছের কাণ্ড কেটে নেওয়া হয়। তারপরই শুরু হয় পরীক্ষা। একটি বদ্ধ জায়গায় রেখে তাদের শব্দ রেকর্ড করা হয়। ২০ থেকে ২৫০ কিলোহার্ৎজের সাউন্ড রেকর্ডার ব্যবহার করা হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ঢাকা কড়াইতে পপকর্ন ফোটার আওয়াজের মতো শুনতে লাগে গাছেদের কথা। তারা ভীষণ জোরে কথা বলে। সেই কথার কম্পাঙ্ক এত বেশি যে, তা মানুষের শ্রবণ সীমার ঢের বাইরে।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ সর্বাধিক প্রায় ১৬ কিলোহার্ৎজ কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পান। তবে গাছেদের কথার কম্পাঙ্ক তার চেয়ে অনেক বেশি। সাধারণত উদ্ভিদদের থেকে ৪০-৮০ কিলোহার্ৎজের শব্দ নির্গত হয়। মানসিক চাপে না থাকলে উদ্ভিদ প্রতি ঘণ্টায় গড়ে একটিরও কম কথা বলে। তবে আহত গাছেরা ঘণ্টায় একাধিক শব্দ উচ্চারণ করে। গবেষকদের দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘গাছেরা কথা বলে কি না, এই বিষয়ে বিতর্কের অবসানের একটি রাস্তা খুঁজে পেয়েছি আমরা।’