কারখানায় আতঙ্ক, অর্ডার চলে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশে: এ কে আজাদ

আইন আদালত জাতীয় রাজনীতি

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ আশুলিয়াস্থ তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে বিজিএমইএর নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন। ছবি: সংগৃহীত

‘দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মপরিবেশ নেই। সেখানে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশের অর্ডারগুলো প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে।’ বলেছেন হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আজাদ বলেন, শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে পারছেন না। বহিরাগতরা কারখানাগুলোতে অশান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের মধ্যে তেমন কোনো অসন্তোষ নেই। কিছুদিন আগেই প্রায় অর্ধেক বেতন বাড়ানো হয়েছে। মালিকরা সেই বেতন বাস্তবায়ন করছে। এখনো কারখানাগুলোতে গ্যাস বিদ্যুৎ ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। কারখানাগুলোতে পাঁচ ছয় ঘণ্টা করে ডিজেলে চালাতে হচ্ছে। এতে উদ্যোক্তাদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি বলেন, কারখানাগুলোতে নিরাপত্তার তীব্র সংকট। সন্ধ্যার পর কারখানাগুলোতে লুটপাট ঠেকাতে পাহারা বসাতে হচ্ছে। পুলিশকে ডাকলে পাওয়া যাচ্ছে না। সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু কারখানা তো অনেক, তারা কয় জায়গায় যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মাসে কোনোভাবে বেতন দিতে পেরেছি। কিন্তু সামনের মাসে ৭৫ হাজার শ্রমিকের বেতন দিতে পারব কি না তা জানি না।’

এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘দেশের কারখানাগুলোর এই অবস্থার জন্য বিদেশি বায়াররা আসছেন না। আমেরিকা অস্ট্রেলিয়াসহ ৫টি দেশ বাংলাদেশকে ট্রাভেল ব্যান দিয়েছে। অর্ডার প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে। ভারতে বিনিয়োগের জন্য সরকার উদ্যোক্তাদের বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিচ্ছে।‘

অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্র্বতী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *